প্রকাশিত : সোমবার , ২৮ অক্টোবর ২০২৪ , দুপুর ০১:৩৫।। প্রিন্ট এর তারিখঃ শনিবার , ১৬ আগস্ট ২০২৫ , বিকাল ০৪:২৬
রিপোর্টার : দিলীপ গোয়ালা, ময়মনসিংহ থেকে:

জাকারিয়া আলম লাগিয়েছেন টাকার গাছ


রিপোর্টার : the investor

ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা উপজেলার সাবেক পিআইও জাকারিয়া আলমের হাতে যেনো আলাদিনের চেরাগ এসেছে। যার জন্য তিনি মাত্র আট বছরের মাথায় বিশাল অর্থের একাধির অট্টালিকাসহ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলছেন। অভিযোগ উঠেছে, নানান প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে অদৃশ্য ইশারা আর নয়-ছয়ের মাধ্যমে তিনি ধোয়া তুলে এধরনের টাকা বানানোর মেশিন পেয়েছেন হয়তোবা। তার এই টাকার মেশিনের কারণে সরকারের কতশত কোটি কোটি টাকা গচ্ছা গিয়েছে তা পর্যবেক্ষণের বিষয়।

অন্য একটি সূত্র থেকে জানাগেছে, সংশ্লিষ্ট এলাকায় চেয়ারম্যানদের সাথে তার ছিলো মধুর লিয়াজো। আবার পিআইয়োদের সর্দার ছিলেন বলেও জানাগেছে। ভূয়া মাষ্টার রোল জমা দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে  নেওয়া তার জন্য কোনো বিষয়ই ছিলো না। যা হয়তোবা আলাদিনের চেরাগের সন্ধান দিয়েছে।

এভাবে তিনি ময়মনসিংহ শহরে আট তলা বাড়িও করেছেন। নিজ এলাকা ধোবাউড়ায় করেছেন চার তলার আলিশান বাড়ী। তৎকালীন আ,লীগের প্রভাবশালীদের কিভাবে ব্যবহার করেছেন তা দুদকে করা তার বিষয়ে অভিযোগ পুণ:তদন্ত করলেই থলের বিড়াল বেরোনো সহ শতশত টাকা বানানোর মেশিনের খবর বেরিয়ে আসবে। তবে দুদক সংশ্লিষ্ঠ বিভাগের মন্তব্য, এবিষয়ে অভিযোগ ও তথ্য পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তারাকান্দার সাবেক উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জাকারিয়া আলম (সম্প্রতি অনেকটা আত্মগোপন মুডে আসতে ঢাকায় বদলী হয়ে এসেছেন) এ ব্যাপারে জানতে তার অফিসে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। মুঠো ফোনে এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলেও তিনি উত্তেজিত হয়ে উঠেছেন। বলেছেন, কোথায় আমার এত সম্পদ, আমাকে নিয়ে চলেন, দেখান। ময়মনসিংহ শহরে আটতলা বাড়ীর বিষয়ে অন্যেরও শেয়ার আছে’ বলে জানিয়েছেন। নিজেকে ধোয়া তুলছি পাতা দাবী করলেও বিষয়টি রফাদফা করতে তিনি এরই মধ্যে দৌঁড়-ঝাপ শুরু করেছেন। নইলে তার ডিআর হবার স্বপ্ন বিঘ্নিত হলেও হতে পারে। অবশ্য এতেও কিছু যায় আসে না। কেননা খোদ মহাপরিচালক তার সখ্যতার লোক। তিনি এজন্যই যেকোনো বিষয়ই পার পাবার ভরসায় থাকেন।