
গতকাল শনিবার দিবাগত রাত একটা থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে এবং রাত ১১টা ৪০ মিনিট থেকে আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আজ রোববার বেলা পৌনে ১১টার দিকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে এবং সকাল পৌনে ১০টার দিকে আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথ এবং মানিকগঞ্জের আরিচা ও পাবনার কাজিরহাট নৌপথে ঘন কুয়াশার কারণে দুই দিন ধরে নৌযান চলাচল ব্যাহত হচ্ছিল। পরে এই দুই নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রায় ৯ ঘণ্টা নৌযান চলাচল বন্ধ থাকার পর গতকাল সকালে ফেরিসহ নৌযান চলাচল স্বাভাবিক হয়। গতকাল রাত থেকে ঘন কুয়াশার কারণে আবার এই দুই নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, টানা কয়েক দিন ধরে কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে নৌযান চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। প্রায় ১০ ঘণ্টা পর আজ বেলা পৌনে ১১টার দিকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ফেরি
বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া প্রান্তে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ঘাট এলাকায় দুই শতাধিক বিভিন্ন
ধরনের ঢাকামুখী যানবাহন নদী পাড়ি দেওয়ার অপেক্ষা করছিল। একইভাবে পাটুরিয়া প্রান্তে
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ঘাট এলাকায় বেশ কিছু গাড়ি ফেরির জন্য অপেক্ষা করে। তবে বিকল্প
পথ হিসেবে পদ্মা সেতু দিয়ে দূরপাল্লার কিছু যাত্রীবাহী পরিবহন চলাচল করেছে।
বিআইডব্লিউটিসির
আরিচা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, কুয়াশায় ফেরি বন্ধ হয়ে পড়ায় দৌলতদিয়া প্রান্তে
ভাষা সৈনিক ডা. গোলাম মাওলা, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান, কেরামত আলী ও বনলতা নামের
চারটি ফেরি নোঙর করে থাকে। এ সময় পাটুরিয়া প্রান্তে হাসনা হেনা, শাহ পরান, ফরিদপুর
ও বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন নামের অপর চারটি ফেরি নোঙর করে থাকতে বাধ্য হয়।