প্রকাশিত : রবিবার , ১১ মে ২০২৫ , দুপুর ০১:৪০।। প্রিন্ট এর তারিখঃ শনিবার , ১৬ আগস্ট ২০২৫ , বিকাল ০৩:০৫
রিপোর্টার : খুলনা ডেস্ক

চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি! অতি তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত


রিপোর্টার : the investor

চুয়াডাঙ্গায় চলতি মৌসুমের সবচেয়ে ভয়াবহ গরমের প্রভাব পড়েছে শহরের প্রতিটি স্তরে। শনিবার (১০ মে) দুপুর ৩টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস—যা বর্তমানে দেশের সর্বোচ্চ। আবহাওয়া অধিদপ্তর এই মাত্রাকে "অতি তীব্র তাপপ্রবাহ" হিসেবে ঘোষণা করেছে।

বাতাসে আর্দ্রতা মাত্র ২৩ শতাংশ হওয়ায় গরমের অনুভূতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। গত কয়েক দিনের পরিসংখ্যান বলছে—৮ মে ছিল ৩৯.৭ ডিগ্রি, ৯ মে বেড়ে ৪১.২ ডিগ্রি এবং ১০ মে তা ছুঁয়েছে ৪২ ডিগ্রির সীমা!

এই প্রচণ্ড গরমে চুয়াডাঙ্গা শহরের রাস্তাঘাট গলে গেছে। কোর্ট রোড, শহীদ আবুল হোসেন সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় পিচের ওপর হাঁটাও কঠিন হয়ে পড়েছে। পথচারী, দিনমজুর ও রিকশাচালকরা পড়েছেন বিপাকে—গাছের ছায়ায় বসে বিশ্রাম নেওয়াই একমাত্র উপায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রতিদিন বেড়ে চলেছে তাপজনিত রোগীর সংখ্যা। শিশু ওয়ার্ডে ধারণক্ষমতার চেয়ে তিনগুণ বেশি রোগী ভর্তি, আর ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১১৪ জন। প্রতিদিন ৫০০’র বেশি মানুষ আসছে চিকিৎসা নিতে। চিকিৎসকরা সতর্ক করছেন—হিটস্ট্রোক ও ডায়রিয়ার ঝুঁকি বেড়ে গেছে।

তাপপ্রবাহের প্রভাব পড়েছে গবাদিপশু ও পোলট্রি খামারেও। লোডশেডিং ও অতিরিক্ত গরমে মুরগির মৃত্যুর হার বেড়েছে। খামারিরা বলছেন, আর্থিকভাবে তারা বড় ক্ষতির মুখে পড়ছেন।

একদিকে রিকশাচালক, দিনমজুররা কাজ হারিয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। অন্যদিকে, শরবত ব্যবসায়ীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। শহরের শরবত বিক্রেতারা জানান, গরমের কারণে চাহিদা বেড়ে গেছে কয়েকগুণ।

চুয়াডাঙ্গা সড়ক বিভাগ জানিয়েছে, রাস্তায় গলে যাওয়া বিটুমিন সামাল দিতে বালু ছিটানো হচ্ছে এবং প্রয়োজনে আরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, বৃষ্টিপাত না হওয়া পর্যন্ত এই তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। এখনই স্বস্তির কোনো সম্ভাবনা নেই।