
দীর্ঘ এক মাসের টানা মূল্যবৃদ্ধির পর খুলনার বাজারে সবজির দাম কমেছে। তবে মাছ ও মাংসের দামে তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি।
রোববার (১৮ মে) নগরীর নতুন বাজার, রুপসা বাজার, গল্লামারি বাজার, নিউ মার্কেট, খালিশপুর ও নতুন বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ সবজির দাম কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে। বাজারে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা, পটোল ৩০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৪০ টাকা, করলা ৪০-৫০ টাকা, লাউ ৩০-৪০ টাকা, লাল শাক কেজি ২০ টাকা, আলু ২০-২৫ টাকা, কাঁচকলা ২০ টাকা হালি, পেঁয়াজ ৬০-৭০ টাকা এবং রসুন ৮০-১০০ টাকা।
তবে মাছ ও মাংস গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকা কেজি, সোনালি মুরগি ৩০০ টাকা, গরুর মাংস ৭৫০ এবং খাসির মাংস ১১৫০ টাকা।
রুই মাছ ২৫০-৩০০, টেংরা ৪০০-৫০০, পাবদা ৩৫০-৪০০, চিংড়ি ৫০০-৬০০ টাকা, ছোট মাছ ২৫০-৩৫০ টাকা, ভেটকি মাছ ৩৫০-৫০০ টাকা, রুই মাছ ২৫০-৩০০ টাকা কেজি, দেশি কই মাছ ১৫০ টাকা কেজি এবং পাঙাস মাছ ১৩০-১৬০ টাকা কেজির মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।
নতুন বাজারের সবজি বিক্রেতা জালাল মোল্যা বলেন, সরবরাহ সংকট কিছুটা কমায় সব সবজির দাম ৫-১০ টাকা কমেছে। মাঝে অনেক গরম পড়াতে সবজি সংকটে দাম বেড়েছিল। পাইকার বাজারে এখন সব সবজির দাম কম।
গল্লামারি বাজারের সবজি বিক্রেতা মানিক বলেন, সবজির দাম এ সপ্তাহে অনেক কম। পাইকার বাজারে সবজি সংকট নেই। তবে ৫-১০ টাকা কম বেশি হয় পরিবহন খরচের কারণে।
নিউ মার্কেট বাজারের মাছ বিক্রেতা সালাম গাজী বলেন, মাছের দাম আগের মতোই আছে। ঈদের পরে আর দাম বাড়েনি। মাঝে মধ্যে বড় মাছে ৪০-৫০ টাকা দাম ওঠা নামা করে।
গল্লামারি বাজারে আসা চাকরিজীবী শফি আহমেদ বলেন, এ সপ্তাহে সবজির দাম অনেক কম। তবে আবার হুট করে বাড়তেও পারে। বাজার মনিটরিংয়ের ঘাটতি কমলে দাম বাড়াতে পারবে না ব্যবসায়ীরা।
নতুন বাজারে আসা গৃহিণী সাদিয়া আফরিন বলেন, সবজির দাম কমেছে। সবজি মূলত পুষ্টিকর খাবার। তাই দাম কমলে কিনে স্বস্তি পাওয়া যায়। কিন্তু মাছের দাম আরেকটু কমলে ভালো হয়।