
কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে চট্টগ্রামে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৮ লাখ ৬১ হাজার গবাদিপশু। জেলার বিভিন্ন খামার ও বাড়িতে পালিত এসব পশু স্থানীয় চাহিদার প্রায় পুরোটাই পূরণ করতে সক্ষম। চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর কোরবানির পশুর সম্ভাব্য চাহিদা ৮ লাখ ৯৬ হাজার। স্থানীয়ভাবে প্রস্তুত পশুর সংখ্যা ৮ লাখ ৬০ হাজার হওয়ায় মাত্র ৩৫ হাজার পশু বাইরে থেকে আনতে হতে পারে।
জেলার খামারিরা জানিয়েছেন, তারা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাদ্যে গবাদিপশু লালন করছেন এবং স্টেরয়েডমুক্ত পশু প্রস্তুত করায় ভালো দাম পাওয়ার প্রত্যাশা করছেন। বর্তমানে খামারগুলোতে পশুর বাড়তি পরিচর্যা চলছে যাতে ঈদের আগে সুস্থ ও আকর্ষণীয় পশু বিক্রি করা যায়।
চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আলমগীর জানিয়েছেন, জেলার সচেতন খামারিরা এখন প্রাকৃতিক উপায়ে পশু লালনে আগ্রহী হয়ে উঠছেন, যার ফলে রোগমুক্ত ও স্বাস্থ্যবান পশুর উৎপাদন বেড়েছে। তিনি বলেন, প্রাণিসম্পদ বিভাগ খামারিদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ, পরামর্শ ও স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে সহযোগিতা করছে।
চট্টগ্রামে বর্তমানে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ১২ হাজার পশুর খামার রয়েছে। এছাড়া ব্যক্তি পর্যায়ে অনেকেই পশু পালন করছেন, যারা কোরবানির সময় পশু বিক্রির মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
স্থানীয়ভাবে গবাদিপশুর এই বিপুল প্রস্তুতি চট্টগ্রামের কোরবানির পশুর বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।