প্রকাশিত : সোমবার , ২৬ মে ২০২৫ , দুপুর ১২:৫১।। প্রিন্ট এর তারিখঃ শনিবার , ১৬ আগস্ট ২০২৫ , বিকাল ০৪:২৮
রিপোর্টার : খুলনা ডেস্ক

পরীমনির মামলা: আদালতে হাজিরা দিলেন নায়িকা নিজে


রিপোর্টার : the investor

চিত্রনায়িকা পরীমনি হাজির হয়েছেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯-এ, ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমি এবং শহীদুল আলমের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় সাক্ষ্য দিতে। ২০২১ সালের একটি আলোচিত ঘটনায় পরীমনি নিজে বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেছিলেন, যেখানে তার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি, ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তোলা হয়।

সোমবার ২৬ মে ২০২৫, বেলা ১১টার দিকে পরীমনি নিজস্ব গাড়িতে করে আদালত চত্বরে পৌঁছান। ১১টা ৫ মিনিটে তিনি ট্রাইব্যুনালের এজলাসে প্রবেশ করেন। এ সময় তিনি ছিলেন হাস্যোজ্জ্বল ও আত্মবিশ্বাসী। তার সঙ্গে থাকা একজন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলার সময় তাকে উদ্দেশ করে রসিকতার সুরে বলেন, "কার হাত ধরে আদালতে এলেন পরীমনি", যা উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

এর আগেও ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর একই মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে যান পরীমনি, সেসময় তার স্বামী রাজ ছিলেন সঙ্গে। মামলার দুই আসামি—অমি ও শহীদুল—ওই দিন হাজিরা দেন, তবে অসুস্থতার কারণে নাসির উদ্দিন সময়ের আবেদন করেন। ওইদিনই আদালত পরীমনির আংশিক সাক্ষ্য গ্রহণ করে।

২০২১ সালের ৮ জুন রাতে ঢাকার আশেপাশের এলাকায় অবস্থিত ঢাকা বোট ক্লাবে ঘটে যাওয়া ঘটনার জের ধরেই ১৪ জুন সাভার থানায় মামলা করেন পরীমনি। মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে নাসির ও অমির নাম সরাসরি উল্লেখ করা হয়, সঙ্গে চারজন অজ্ঞাত ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে একই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা নাসির, অমি ও শহীদুলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন আদালতে। পরে ১৩ ডিসেম্বর অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আদালত।

২০২৪ সালের মে মাসে আদালত অভিযোগ গঠনের আদেশ দেয় এবং মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। আসামিপক্ষ থেকে দায়মুক্তির আবেদন করা হলেও বাদী এবং রাষ্ট্রপক্ষ তা প্রত্যাখ্যান করে।

এই মামলাটি বাংলাদেশের বিনোদন ও বিচার অঙ্গনে দীর্ঘদিন ধরে আলোচিত, এবং পরীমনির এই সাহসী পদক্ষেপ দেশে নারীর নিরাপত্তা এবং বিচার পাওয়ার অধিকারের বিষয়ে নতুন আলোচনার সূচনা করেছে।