
আজ সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে
তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সংবাদমাধ্যমকে মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন পাপিয়া সারোয়ারের
স্বামী সারওয়ার আলম। তিনি জানান, মরদেহ আজ বারডেমের হিমঘরে রাখা হবে। কাল জুমার নামাজের
পর জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে। জানা গেছে, কয়েক বছর ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন
পাপিয়া সারোয়ার। চার দিন ধরে ঢাকার তেজগাঁওয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
ছিলেন তিনি। এর আগে কয়েকদিন ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
ছিলেন। সেসময় শম্পা রেজা জানিয়েছিলেন, পাপিয়া সারোয়ারের দুই মেয়ে জারা ও জিশান যুক্তরাষ্ট্র
ও কানাডায় থাকেন। মায়ের অসুস্থতার খবরে দুজনেই দেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
পাপিয়া সরোয়ারের জন্ম বরিশালে। ছায়ানটে ওয়াহিদুল হক,
সন্জীদা খাতুন ও জাহেদুর রহিমের কাছে সংগীচর্চা শুরু করেন তিনি। এরপর বুলবুল ললিতকলা
একাডেমিতে দীক্ষা নেন এ গায়িকা।
পরে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রসংগীতে
স্নাতক করেন। সংগীতে অবদান রাখায় ২০২১ সালে একুশে পদক পান পাপিয়া সরোয়ার।
এর আগে ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ পান। এছাড়া ২০১৩
সালে বাংলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র পুরস্কার পান। তবে রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী হলেও সাধারণ
শ্রোতাদের মাঝে তাকে পরিচিতি এনে দেয় ‘নাই
টেলিফোন নাইরে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম’ গানটি।