প্রকাশিত : রবিবার , ১৮ মে ২০২৫ , দুপুর ১২:৩৩।। প্রিন্ট এর তারিখঃ শনিবার , ১৬ আগস্ট ২০২৫ , বিকাল ০৪:৩৩
রিপোর্টার : খুলনা ডেস্ক

রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নিয়ে রিভিউ আবেদনের পরবর্তী শুনানি ১ জুলাই


রিপোর্টার : the investor

রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম (ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স) নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউ আবেদনের পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১ জুলাই। রোববার, ১৮ মে ২০২৫ তারিখে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের বেঞ্চ শুনানি শেষে এই তারিখ নির্ধারণ করেন।

রিভিউ আবেদনের শুনানিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার সালাহ উদ্দিন দোলন। বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার নিহাদ কবির এবং অ্যাডভোকেট প্রবীর নিয়োগী। এছাড়া ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী আহসানুল করিম এবং ব্যারিস্টার এম. আবদুল কাইয়ূম অংশ নেন।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৬ সালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ‘রুলস অব বিজনেস’ অনুযায়ী ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে এবং তা রাষ্ট্রপতির অনুমোদনসাপেক্ষে ১১ সেপ্টেম্বর কার্যকর করা হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে এতে সংশোধন আনা হলেও সংবিধানে স্বীকৃত পদধারীদের অবস্থান প্রশাসন ক্যাডারের নিচে রাখায় বিষয়টি নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়।

২০০৬ সালে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব মো. আতাউর রহমান এই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন। হাইকোর্ট ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রায়ে ১৯৮৬ সালের সংশোধিত ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে আট দফা নির্দেশনা দেয়। রাষ্ট্রপক্ষ এই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১১ সালে আপিল করে এবং ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় প্রদান করে।

আপিল বিভাগের রায়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা কিছুটা সংশোধন করে তিনটি মূল নির্দেশনা দেওয়া হয়: প্রথমত, সংবিধান অনুযায়ী সাংবিধানিক পদধারীরা অগ্রাধিকার পাবেন; দ্বিতীয়ত, জেলা জজ ও সমমানের বিচারকরা সচিবদের সঙ্গে ১৬ নম্বর স্থানে থাকবেন; তৃতীয়ত, অতিরিক্ত সচিবরা থাকবেন ১৭ নম্বরে।

এই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এবং পরবর্তীতে ডেপুটি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরাও এই রিভিউ প্রক্রিয়ায় যুক্ত হন। আপিল বিভাগে রিভিউ আবেদনের শুনানি অব্যাহত রয়েছে এবং পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১ জুলাই।