প্রকাশিত : মঙ্গলবার , ২৯ জুলাই ২০২৫ , বিকাল ০৩:১৪।। প্রিন্ট এর তারিখঃ শনিবার , ১৬ আগস্ট ২০২৫ , সন্ধ্যা ০৬:১৭
রিপোর্টার : খুলনা ডেস্ক

বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক নিয়ে ১০ বছরের বাধার কথা জানালেন রাষ্ট্রদূত


রিপোর্টার : the investor

ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন জানিয়েছেন, গত ১০ বছর ধরে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে চীনের সম্পর্ক গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে কিছু বাধা ছিল। তবে বর্তমানে রাজনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘ডিক্যাব টক’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এক প্রশ্নের উত্তরে রাষ্ট্রদূত জানান, চীনা কমিউনিস্ট পার্টি বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহী। তবে বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে অতীতে সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা ছিল। বর্তমানে সম্পর্ক পুনঃগঠনের প্রচেষ্টা চলছে এবং এই দলগুলোর উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরা সম্প্রতি চীন সফর করেছেন। সেখানে তারা চীনের শাসনব্যবস্থা ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে সরাসরি অবহিত হয়েছেন।

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের ভিত্তি পারস্পরিক শ্রদ্ধা, আস্থা এবং সহযোগিতা। দুই দেশের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাঁচ নীতির প্রতি প্রতিশ্রুতি রয়েছে, যা রাজনৈতিক আস্থা ও কৌশলগত অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিচ্ছে।

তিনি উল্লেখ করেন, চলতি বছরের মার্চ মাসে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস দ্বিপাক্ষিক সফরে চীন যান এবং বেইজিংয়ে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত সহযোগিতার দিকনির্দেশনা নির্ধারিত হয়।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিপিসির রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ওয়াং ই সম্প্রতি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে উভয় পক্ষ পারস্পরিক স্বার্থে সমর্থন ও বহুমুখী সহযোগিতা জোরদারের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।

ত্রিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ, চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে যৌথভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি এটিকে কোনো তৃতীয় পক্ষবিরোধী জোট নয় বলে স্পষ্ট করেছেন।

জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি না হয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, নির্বাচনের সময় নির্ধারণ ও প্রক্রিয়া বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের একান্ত বিষয়।

রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, টেকসই সমাধান হচ্ছে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়া। যদিও মিয়ানমারের রাখাইনে বর্তমানে নিরাপত্তা পরিস্থিতি প্রত্যাবাসনের জন্য অনুকূল নয়, তবে চীন মিয়ানমার ও বাংলাদেশের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখছে।