প্রকাশিত : বৃহঃস্পতিবার , ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ , দুপুর ০২:৫৬।। প্রিন্ট এর তারিখঃ শনিবার , ১৬ আগস্ট ২০২৫ , সকাল ০৬:৫৫
রিপোর্টার : দ্য ইনভেস্টর অনলাইন ডেস্ক

বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে নেপাল ও শ্রীলংকার চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। ১১.৯ শতাংশ মানুষ এখনো অপুষ্টিতে ভুগছে।


রিপোর্টার : the investor

গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত বিশ্ব ক্ষুধা সূচক ২০২৪-এর প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। জিরো হাঙ্গার: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড শীর্ষক অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড ও ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফে যৌথভাবে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের তুলনায় ভালো অবস্থানে থাকলেও বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে নেপাল ও শ্রীলংকার চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে মাঝারি মাত্রার ক্ষুধাপীড়িত দেশের তালিকায় রাখা হয়েছে। ১২৭টি দেশের মধ্যে ৮৪তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক বা গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স (জিএইচআই) ২০২৪ এর তথ্য অনুযায়ী, ক্ষুধা মোকাবিলায় অগ্রগতি হলেও এখনো মাঝারি মাত্রার ক্ষুধা বিরাজ করছে বাংলাদেশে। দেশটির জনসংখ্যার ১১.৯ শতাংশ অপুষ্টির শিকার।মূলত চারটি সূচকের ওপর ভিত্তি করে ক্ষুধা সূচকের স্কোর নির্ধারিত হয়েছে। এর মধ্যে অপুষ্টির মাত্রা, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের উচ্চতা অনুযায়ী কম ওজন, বয়স অনুযায়ী কম উচ্চতা ও শিশুমৃত্যুর হার।

প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, আমরা দেশের বাইরে থেকে আমদানি করে ক্ষুধা মেটাতে পারি না। তাই আমাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। অনিরাপদ কৃষিচর্চার ফলে আমরা নিরাপদ খাদ্যের জোগান নিশ্চিত করতে পারছি না। এতে পুষ্টিনিরাপত্তাও নিশ্চিত হচ্ছে না।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন মিশেল ক্রেজা বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে দরিদ্রসহ অন্যান্য বিপদাপন্ন জনগোষ্ঠীকে আরো অগ্রাধিকার দিয়ে সামগ্রিক খাদ্যনিরাপত্তার ব্যবস্থাকে জোরদার করতে হবে।

স্বাগত বক্তব্যে ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফে বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর পঙ্কজ কুমার বলেন, বাংলাদেশ ক্ষুধা হ্রাসে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে; কিন্তু ২০২৪ সালের গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সের দিকে তাকালে দেখা যায়, এখনো গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। ক্ষুধার চক্রকে ভাঙতে আমরা কমিউনিটিভিত্তিক সমাধান, অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতিমালা এবং জলবায়ু সহনশীলতার শক্তিকে গুরুত্ব দিচ্ছি।

সমাপনী বক্তৃতায় কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর মনিষ কুমার আগরওয়াল বলেন, এবারের গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স প্রতিবেদন কেবল ক্ষুধার প্রবণতা ও দেশের স্কোর নিয়েই মূল্যায়ন করেনি, বরং জলবায়ু সহনশীলতা ও শূন্য ক্ষুধার জন্য লিঙ্গবৈষম্য মোকাবেলার গুরুত্ব নিয়েও গভীর বিশ্লেষণ করেছে।