
অসহনীয় মূল্যস্ফীতির চাপে গত ২ বছরে নতুন করে বাংলাদেশের ৭৮ লাখ মানুষ দরিদ্র হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র্যাপিড)।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বর্তমান সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের প্রস্তুতি নিয়ে আয়োজিত কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়।
র্যাপিড চেয়ারম্যান ড. এম এ রাজ্জাক গবেষণাটি উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন অন্তর্বতী সরকারের প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
গবেষণায় বলা হয়, ২ বছরে ৭৮ লাখ ৬০ হাজার মানুষ নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে এসেছে। একইসঙ্গে ৯৮ লাখ ৩০ হাজার মানুষ অতিমাত্রায় দরিদ্রের ঝুঁকিতে রয়েছেন। এ ছাড়াও ৩৮ লাখ মানুষ দরিদ্র থেকে হতদরিদ্র নেমে এসেছে।
র্যাপিড চেয়ারম্যান ড. এম এ রাজ্জাক বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পলিসি, দুনীতি ও অনিয়মের কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। অতিমাত্রা মূল্যস্ফীতি বেড়েছে অতিরিক্ত টাকা সরবরাহের কারণে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত নভেম্বর মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১.১৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩.৮০ শতাংশ। গ্রামাঞ্চলে এর পরিমাণ ১৩.৪১ শতাংশ ও শহরে ১৪.৬৩ শতাংশ।
পিছিয়ে নেই খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতিও। গ্রামাঞ্চলে এর পরিমাণ ৯.৭২ শতাংশ ও শহরে ৯.৩১ শতাংশ। এর প্রভাবে নভেম্বরে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১১.৩৮ শতাংশে।