প্রকাশিত : শনিবার , ২৪ মে ২০২৫ , দুপুর ১২:৫৩।। প্রিন্ট এর তারিখঃ শনিবার , ১৬ আগস্ট ২০২৫ , সন্ধ্যা ০৬:১৯
রিপোর্টার : খুলনা ডেস্ক

লন্ডনে শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠদের ১৫০০ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করেছে যুক্তরাজ্য


রিপোর্টার : the investor

যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) সম্প্রতি লন্ডনে প্রায় ৯০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের বিলাসবহুল সম্পত্তি জব্দ করেছে, যা বাংলাদেশে প্রায় ১৫০০ কোটি টাকার সমপরিমাণ। এসব সম্পত্তির মালিকানা রয়েছে আহমেদ শায়ান রহমান ও তার চাচাতো ভাই আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের হাতে, যাঁরা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। ব্রিটিশ আদালতের নির্দেশে বর্তমানে তারা এই সম্পত্তিগুলো বিক্রি করতে পারবেন না।

দ্য গার্ডিয়ান এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ইউকে’র যৌথ অনুসন্ধানে জানা গেছে, শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠদের মালিকানায় যুক্তরাজ্যে আনুমানিক ৪০০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের সম্পদ রয়েছে। জব্দ হওয়া নয়টি সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে লন্ডনের অভিজাত গ্রোসভেনর স্কয়ারে একটি অ্যাপার্টমেন্টসহ আরও কয়েকটি দামি বাড়ি। এসব সম্পদ মূলত ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, আইল অফ ম্যান ও জার্সির মতো অফশোর কোম্পানির মাধ্যমে কেনা হয়েছিল। প্রতিটি সম্পত্তির মূল্য ১২ লাখ থেকে ৩৫.৫ মিলিয়ন পাউন্ড পর্যন্ত।

জব্দ করা সম্পত্তির মধ্যে একটি বাড়ি রয়েছে লন্ডনের গ্রেশাম গার্ডেনসে, যেখানে শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা বসবাস করতেন বলে জানা গেছে। এই বাড়িটির মূল্য প্রায় ৭.৭ মিলিয়ন পাউন্ড। উল্লেখ্য, শেখ রেহানার মেয়ে ও সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধেও বাংলাদেশে চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। তিনি ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন এবং সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

এনসিএ জানিয়েছে, এটি একটি চলমান বেসামরিক তদন্তের অংশ এবং তারা আরও সম্পত্তি জব্দের জন্য কাজ করছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ইউকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর উচিত যত দ্রুত সম্ভব সকল সন্দেহভাজন অবৈধ সম্পত্তি জব্দ করা।

আহমেদ শায়ান রহমানের একজন মুখপাত্র ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে জানান, তাঁর মক্কেল তাঁর বিরুদ্ধে আনা যেকোনো অভিযোগ জোরালোভাবে অস্বীকার করছেন এবং যুক্তরাজ্যে চলমান তদন্তে সম্পূর্ণরূপে সহযোগিতা করছেন। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে, যেখানে শত শত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে—এটি সবারই জানা। যুক্তরাজ্যের কর্তৃপক্ষের উচিত এসব রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নেয়া।

দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, তারা রহমান পরিবারের আইনজীবী ও বেক্সিমকোর (সালমান এফ রহমানের প্রতিষ্ঠিত পারিবারিক করপোরেট সাম্রাজ্য) প্রতিনিধিদের সঙ্গে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করেছে।