• ঢাকা
  • শনিবার , ১৬ আগস্ট ২০২৫ , ভোর ০৪:৫৬
ব্রেকিং নিউজ
হোম / ক্রাইম
রিপোর্টার : দীলিপ গোয়ালা, ময়মনসিং:
দেশ স্পেশালাইজড হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক’র চরম অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে এলাকায় তোলপাড়

দেশ স্পেশালাইজড হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক’র চরম অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে এলাকায় তোলপাড়

প্রিন্ট ভিউ

ময়মনসিংহের চর পাড়া মেডিকেল কলেজ গেইট এর বিপরীতে দেশ স্পেশালাইজড হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক এর চরম দুর্নীতি স্বেচ্ছাচারিতাসহ ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি যেন একটি বিশেষ ধরনের প্রতারক চক্রের আস্তানা। ২০২৩ সাল থেকে আজ পর্যন্ত বেশ কয়ক কোটি টাকা বিশেষ কায়দায় বিশেষ করে প্রতারণামূলক চিকিৎসা সেবার নামে হাতিয়ে নিচ্ছে। বেপরোয়া অর্থ এবং শেয়ারের লোভ দেখিয়ে তাদের প্রতিষ্ঠানের নামে রশিদ দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। মোঃ জাকির হোসেন খান ওরফে কাজল খান, তার স্ত্রী মাহমুদা (ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এর ষ্টাফ নার্স) ও তার ছেলে মিহির মাহমুদ খান এ চক্রের মূল প্রতারক বলে জানাগেছে। এরই মধ্যে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ করে গা ঢাকা দিয়েছে তারা। এখনো মানুষ তাদের পিছনে টাকার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছে কিন্তু তাদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে না, ফোন করলে তাদের টাকা না দেওয়ার কথা এবং ব্যবসায় লাভ হয় নাই বলেও হুমকি ধামকি দিয়ে চলেছে। আসলে তারা তিন জনই উক্ত প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, এমডি প্রভৃতি দেখিয়ে প্রতি মাসে বড় অঙ্কের টাকা বেতন নিয়ে যায়, তাদের উক্ত টাকা আত্মসাৎ এর আরো একটি কায়দা। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,উক্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টারটিতে জরুরী তেমন কোন চিকিৎসা সরঞ্জামাদি নাই, আদ্রতা নাই, নাই পর্যপেক্ষক কর্মী, আছে শুধু সাইন বোর্ড ডাক্তার বা অপারেশন থিয়েটার কিছুই নেই, এই প্রতিষ্ঠানে রোগী আসলে তারা নিজেরাই ডাক্তার পরিচয় দিয়ে রোগীদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বেপরোয়া কর্মকান্ডের মধ্যে ওরা লাখলাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। রোগীরা যখন বুঝতে পারে তারা প্রতারণার মুখে পড়েছে তখন তারাও সেখান থেকে চলে যায়। গ্রামের মানুষ কার কাছে বিচার চাইবে? চিকিৎসা করাবে, নাকি বিচার চাইবে, সবকিছু মেনে নিয়ে তারা চলে যায়। এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিরাও তাদের অপকর্মগুলো জানে এবং এ বিষয়ে বেশ কয়েকটি বিচার শালিশ করেছে বলে জানা যায়। তাই এলাকাবাসী ও সাধারণ লোকজন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেও এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী ভোক্তভূগী মহলের। সূত্র জানায়, বাহির থেকে মেয়ে এনে নার্স পরিচয়ে কাজ চালিয়ে আসছে। রেজিষ্ট্রাট ডাক্তার নেই। ক্রাইম প্রকৃতির লোকদের মাধ্যমে সেল্টার অর্জন করে নিজেরাই ডাক্তার সেজে এমআরসহ অন্যান্য জটিল অস্ত্র প্রচারে এরাই কাজ করছে। অনেক সময় দেখা যায় অগনিত সুন্দর মেয়েদের আনা গোনা, ভিতরে আপত্তিকর ঘটনা থাকতে পারে। এদিকে বেশ কয়েকজনকে পরিচালক পদে কাছ থেকে শেয়ার দিয়েছে, একেক জনের কাছ থেকে শেয়ার ৮/১০ লক্ষ করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে ভূক্তভোগী মহল তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের গ্রেফতারের দাবী করেছে।এদিকে বহু রোগীর অপারেশনে হ-য-ব-র-ল চিকিৎসা করে অনেক অক্কা পেয়েছে তবে এ বিষয়ে চাপা গুঞ্জন আছে। বাংলাদেশ মেডিকেল চিকিৎসা শাস্ত্রে প্রাইভেট হাসপাতাল/ডায়াগনষ্টিক সেন্টার নিয়ম অনুযায়ী পর্যবেক্ষণ করলে এদের দুর্নীতির আসল চেহারা বেরিয়ে আসবে বলে বিশ্বস্থ্য সূত্র দাবী করেছে। এ নিয়ে দেশ স্পেশালাইজড হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক’র কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলতে গেলে কেউ কিছু বলতে রাজী হয়নি। 


ক্রাইম

আরও পড়ুন