চুয়াডাঙ্গায় এবার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে পাকা আম সংগ্রহ ও বাজারজাতকরণ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে জেলার বুজগড়গড়ি এলাকায় আঁটি, গুটি ও বোম্বাই জাতের আম সংগ্রহের মাধ্যমে এই মৌসুমের উদ্বোধন করা হয়। তাপপ্রবাহের কারণে গাছে আম দ্রুত পেকে যাওয়ায় হিমসাগর আম সংগ্রহের সময় দুই দিন আগেই শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ‘মহলদার আম্রকাননে’ জেলা ফল ও আম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবদুল কুদ্দুস মহলদারের উদ্যোগে এই আম সংগ্রহ কার্যক্রমের সূচনা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান সরকারসহ স্থানীয় প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।
জেলা প্রশাসক বলেন, এ বছর অনুকূল আবহাওয়ার কারণে ভালো ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমে কোনো রাসায়নিক বা ক্ষতিকর উপাদান ব্যবহার করা যাবে না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরবরাহ ও বাজার ব্যবস্থাপনা মনিটর করা হবে। পাশাপাশি মহাসড়কের পাশে একটি আধুনিক মার্কেটপ্লেস তৈরির কাজ চলমান রয়েছে, যেখানে সহজেই আম বিক্রি-বিক্রয় সম্ভব হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জানান, উচ্চ তাপমাত্রার কারণে হিমসাগর আম দ্রুত পেকে যাচ্ছে। তাই চাষিদের আবেদনের প্রেক্ষিতে এবং প্রশাসনের অনুমতিক্রমে হিমসাগর আম সংগ্রহের সময় ২০ মে’র পরিবর্তে ১৮ মে থেকে চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবদুল কুদ্দুস মহলদার বলেন, চুয়াডাঙ্গার আম নিরাপদ, ফরমালিন বা কোনো ক্ষতিকর পদার্থ ব্যবহার করা হয় না। তিনি ভোক্তাদের আশ্বস্ত করে বলেন, নির্ভয়ে এখানকার আম খাওয়া যাবে।
এ বছর জেলায় ২,৩০০ হেক্টর জমিতে আমচাষ হয়েছে। হেক্টরপ্রতি ১৫ মেট্রিক টন হারে প্রায় ৩৪,৫০০ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। পর্যায়ক্রমে ২০ মে থেকে হিমসাগর, ২৮ মে থেকে ল্যাংড়া, ৫ জুন থেকে আম্রপালি (বারি আম-৩), ১৫ জুন থেকে ফজলি এবং ২৮ জুন থেকে আশ্বিনা ও বারি আম-৪ সংগ্রহ ও বাজারজাত শুরু হবে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ।