• ঢাকা
  • শনিবার , ১৬ আগস্ট ২০২৫ , ভোর ০৪:৫৮
ব্রেকিং নিউজ
হোম / উপসম্পাদকীয়
রিপোর্টার : বিশেষ প্রতিবেদন:
ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করছেন -সৈয়দ এরশাদ আহমেদ

ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করছেন -সৈয়দ এরশাদ আহমেদ

প্রিন্ট ভিউ

আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ এর প্রেসিডেন্ট সৈয়দ এরশাদ আহমেদ বলেছেন, স্বপ্নের বাংলাদেশ গঠনের ভীত তৈরি করবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, এশিয়ার দেশগুলোয় শৈরতান্ত্রিক শাসনের অগ্রপথিক, “নির্মম আয়রন লেডি”র খ্যাতি লাভ করে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

 তাঁর মতে, ২০০৮ সালে সেনা নিয়ন্ত্রিত একটি অস্বাভাবিক নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতারোহন করে। ক্ষমতারোহনের পর মুখবুলির গণতন্ত্রের আড়ালে বাকশালী শাসন কায়েম। স্বপ্ন, মিশন, ভিশন, ডেল্টা প্লানের নামে দেশের সব খাতকে সমূলে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড় করিয়েছে। কুটনৈতিক, অর্থনৈতিক, বিচার বিভাগ ও প্রশাসনিক সর্ব সেক্টরেকে নিমজ্জিত করেছে অস্তিত্ব সংকটে। গত সাড়ে পনের বছর বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ ছিলো ৬৪ হাজার বর্গ কিলোমিটরের একটি আয়না ঘরে। এই সময়ে মানুষের রাজনৈতিক অধিকারকে করা হয়েছিল অপহরণ, রাষ্ট্রকে করা হয়েছিল পুলিশি রাষ্ট্র। পুলিশ বাহিনীতে কয়েকজন বেনজির-হারুন তৈরী করে নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। রাষ্ট্রের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ এই বাহিনীটি পরিণত হয় গণশত্রুতে। 

একদল ব্যাংক ডাকাত তৈরী করে তাদের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে ব্যাংকিং খাত। লুটপাট করা হয়েছে দেশের সাধারণ জনগণের ব্যাংকে রাখা গচ্ছিত আমানত। বিশ্বের ইতিহাসে এমন অফিসিয়াল কায়দায় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা দ্বিতীয়টি আর সংঘটিত হয় নি বলেও এ খাত বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। তবে কেউ কেউ বলেছেন, ব্যাংকিং খাত ডাকাতির একটি বিশেষ সুখ্যাতি রয়েছে বিশেষ একটি পরিবারের। ২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়ে কয়েকজন চিহ্নিত লুটেরার মাধ্যমে ব্যাংক ডাকাতি, লুটপাটে  ডায়নামিকতা দেখানো হয়েছে।

অন্য এক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিরোধীদের নিপিড়ন গত ৫ আগষ্ট বাংলাদেশের বৈষম্য বিরোধী একটানা ছাত্র আন্দোলনের ৩৬ দিনের মাথায় “দক্ষিণ এশিয়ার নির্দয় আয়রন লেডি খ্যাত, নির্মম অত্যাচারী সৈরশাসক” মুজিব কন্যা শেখ হাসিনাকে দিন দুপুরে ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যেতে হয়েছে। ক্ষমতার উল্লুফন, পাঁচ থেকে নয় স্তর বিশিষ্ট সুরক্ষিত প্রশাসনিক ব্যবস্থা, অতন্দ্র প্রহরী ক্যাডার বাহিনী, ইন্ডিয়ান রাজনীতিক-কুটনীতিক যুগল সুলভ নিরাপত্তা প্রহরা, বিশেষ নিরাপত্তা বেষ্টিত গণ ভবন তাকে কোনভাবে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে  পারে নি। রৌদ্র উজ্জল দিন দুপুরে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে বলা যায় এক পোষাকে পালিয়ে গিয়ে দিল্লির কাছে আশ্রয় চাইবে এ ধরনের চিন্তা কেউ কখনো করেনি। ক্ষমতায় টিকে থাকতে পাষবিক সত্ত্বার এই স্বৈরাচার মুজিব কন্যা শেখ হাসিনা জনগনের টেক্সের টাকায় কেনা হাজার হাজার তাজা বুলেট নির্দয়ভাবে খরচ করেছে  বাংলাদেশের বুকে । ইতিহাসের ভয়ঙ্কর এই রক্ত পিপাসু দানবের পতন ঘটাতে দরকার হয়েছে নিষ্পাপ-অকূতভয় শহীদদের এক সাগর রক্ত ও আত্মত্যাগ। 

সৈয়দ এরশাদ আহমেদ বলেন, অসংখ্য কিশোর, তরুন, যুবকের সারি সারি লাশের স্তুপ, পংঙ্গুত্ব বরণ করা হাজার হাজার কিশোর, তরুন, যুবকের আত্মত্যাগ, আয়না ঘরে নির্মম নির্যাতন শিকার হওয়ার যন্ত্রণা, সন্তান হারা মায়ের দুঃখ-বেদনা, আত্মনাদ নিমিষেই সবকিছু ভুলিয়ে দিয়েছে ৫ আগষ্ট দুপুরে মুজিব কন্যা স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার ভারতে পালানোর সংবাদ। সব ভুলে কী শিশু! কী বুড়ো! কী নারী বা পুরুষ! সমভাবে নিশ্চিন্তে সকলে বিজয় মিছিলে নেমে এসেছে রাজপথে। এমন অভূতপূর্ব দৃশ্যের দেশের সর্বস্তরের মানুষের এ আনন্দ-উল্লাস ও মুক্ত নিঃশ্বাস ফিরিয়ে দিয়েছে স্বার্থহীন সূর্য সন্তানের একটি বিশাল শহীদ কাফেলা। তারা রাজনীতি, কুটনীতি, অর্থনীতি কিছুই বুঝতো না। তারা জ্ঞানের রাজ্যে জ্ঞান তাপসও হয় নি, তাদের ছিলো কুলষমুক্ত শেষ পর্যায়ে লক্ষ্যস্থির হয় শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ সৈরাচার হাসিনা মুক্ত বাংলাদেশ ও ভারতের আগ্রাসন থেকে মুক্তি। শোষণ মুক্ত একটি সমাজ বিনির্মাণে শেখ হাসিনাকে হটাতে হবে, ভারতের আগ্রাসন মুক্ত করতে হবে এই সহজ সরল বিষয়টিই আত্মস্থ করে রাজপথ দখল নিয়ে দেশের বুকে স্বৈরাচারের বুলেটের সামনে জীবন বিলিয়ে দিয়েছে। তাদের পরবর্তীরা বৈষম্যমুক্ত, ন্যয়নিষ্ঠ একটি সমাজ উপহার পাবে এমন স্বপ্ন নিয়ে নিরপরাধ কিশোর, তরুন যুবকেরা আত্মত্যাগ করেছে। বিপ্লবী এই শহীদের লক্ষ্য একটাই ছিলো ন্যায়নিষ্ঠ আগামীর নিরাপদ একটি বাংলাদেশ।


মতামত

আরও পড়ুন