বিডিআর হত্যাকাণ্ডে বিস্ফোরক মামলায় ৪০০ আসামির জামিন শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। হত্যা মামলায় আসামিদের খালাস মিলেছে, তবে তারা কারাবন্দি রয়েছেন বিস্ফোরক আইনের মামলায়। তাই মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করে নিরপরাধদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন আসামিদের স্বজনরা।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) হত্যা মামলায় খালাস পাওয়া আসামিদের মুক্তির দাবিতে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার সংলগ্ন অস্থায়ী আদালতের সামনে মানববন্ধন করেন স্বজনরা। তাদের দাবি, ভিত্তিহীন বিস্ফোরক মামলায় বিচার বিলম্বিত করে অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হয়েছে হত্যা মামলায় খালাস পাওয়া আসামিদের।
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া মেহেদী হাসানের ৫ বছর বয়সের সময় ঘটে নৃশংস বিডিআর হত্যাকাণ্ড। তখন হত্যা ও বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার হন বাহিনীটিতে ঝাড়ুদার হিসেবে কর্মরত তার বাবা রেজাউল করিম। হত্যা মামলায় বাবা খালাস পেলেও বিস্ফোরক মামলায় মুক্তির আশায় কেটে গেছে দীর্ঘ ১৬টি বছর।
মেহেদী হাসান বলেন, ‘আমার বাবা যখন জেলে যান, তখন আমি খুব ছোট। গত ১৬ বছর ধরে আমার বাবাকে কাছে পাইনি। আমার বাবা থেকেও না থাকার মতো হয়ে গেছে।’
হত্যা মামলায় খালাস পাওয়ার পরও কারাগারে থাকা আসামি রেজাউল করিমের স্ত্রীর প্রশ্ন, বিডিআরের একজন নিরস্ত্র ঝাড়ুদার কিভাবে বিস্ফোরক মামলায় আসামি হন।
রেজাউলের স্ত্রী বলেন, একজন ঝাড়ুদার কীভাবে আসামি হতে পারে! তার কাছে তো অস্ত্র নেই। অথচ ১৬ বছর ধরে আসামি হয়ে জেলে আছেন। এর কারণটাই তো বুঝতে পারছি না।
২০০৯ সালে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের মামলায় ২০১৩ সালে ২৭৭ জন নির্দোষ প্রমাণ হয়ে খালাস পান। আর বিস্ফোরক আইনের মামলায় জামিনের অপেক্ষায় ৪ শতাধিক আসামি।