ইংলিশ লিগের ফুটবলার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হামজা দেওয়ান চৌধুরী লেস্টার সিটিতে খেলেন। তিনি নাকি বাংলাদেশের জার্সি গায়ে খেলতে চান। বাফুফের দাবি, হামজা নিজেই আগ্রহী হয়েছেন। আর এটা নিয়ে বাফুফের লোকজনকে প্রতিদিনই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে, হামজা কবে আসবেন? হামজা কোন ম্যাচ খেলতে পারবেন? হামজা হামজা শুনতে শুনতে এখন বাফুফের কর্মকর্তারা বিরক্ত হয়ে বলে দিয়েছেন, সবকিছু ঠিকঠাক হলে জানানো হবে।
গতকাল বাফুফেতে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেও আবার হামজা প্রসঙ্গ উঠল। হামজাকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট করে দিয়েছে বাফুফে। সবকিছু এগিয়ে দেওয়ার পর এখন বাফুফে জানতে পারছে, ইংল্যান্ড যুব ফুটবল দলে খেলার কারণে তার বিষয়টি আটকে গেছে আইনি গ্যাড়াকলে। ফিফার প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির টেবিলে পড়ে আছে হামজার ফাইল, ওখান থেকে সবুজ সংকেত পাওয়া গেলে ইংলিশ ফুটবলের খুব পরিচিত খেলোয়াড় হামজা চৌধুরী খেলতে পারবেন বাংলাদেশের জার্সি গায়ে। কিন্তু সেই পথ এখনো দূরে।
হামজা ইংল্যান্ড যুব ফুটবল দলে কয়েকটি ম্যাচ খেলেছেন। ওখানেই একটি ম্যাচের সময় হামজার বয়সটা কয়েক মাস পেরিয়ে গিয়েছিল বলে বাফুফে সূত্রে জানা গেছে। এখন হামজার জন্য বাংলাদেশের জার্সি গায়ে খেলাটা কঠিন হয়ে গেল। যদিও বিষয়টি শেষ হয়নি। সম্ভাবনা এখনো ঝুলে রয়েছে, তার পরও বাফুফে আশায় রয়েছে, যদি হয় হবে। না হলে নেই।
এটা নিয়ে এখন ভারতের সংবাদমাধ্যমেও আলোচনা চলছে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলা হচ্ছে আগামী ২৫ জানুয়ারি এশিয়ান কাপের গ্রুপ পর্বের খেলায় ভারতের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে খেলবেন হামজা চৌধুরী। গতকাল হামজা ইস্যু নিয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার বলেন, 'এ মুহূর্তে লেখার মতো কোনো তথ্য দিতে পারছি না। আমরা কাজ করছি। ফিফা আমাদের কাছে যা যা চেয়েছে সবই দিয়েছি। অন্য দেশের গণমাধ্যমে যা লিখছে, সেগুলো আগের খবর। হামজা পাসপোর্ট পেয়েছেন, ইংল্যান্ড ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ছাড়পত্র দিয়েছে, এসব খবর তো নতুন কিছু নয়। আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী, হামজাকে জাতীয় দলে খেলানোর বিষয়ে।'
হামজা বাংলাদেশে খেলতে না পারলে তার কিছু আসে-যায় না। তিনি ইংলিশ লিগে দারুণ ফরমে রয়েছেন। বাংলাদেশে খেলতে পারলে খেলবেন, না পারলে খেলবন না। এসব নিয়ে হামজার পরিবারের কোনো দুর্ভাবনা নেই।