গতকাল মঙ্গলবার উপদেষ্টা
পরিষদের ১৭তম বৈঠকে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়া অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ।
পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, নিশ্চিত থাকুন, নতুন
যে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, এর মাধ্যমে সাইবারস্পেস যেমন সুরক্ষিত হবে, আমাদের সবার
জন্য, ঠিক তেমনি এটি আমাদের গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সুরক্ষিত করবে। আগের সাইবার নিরাপত্তা
আইনে থাকা সব বিতর্কিত ধারা বাদ দিয়ে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪’ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম । শেখ হাসিনার আমলে করা সাইবার নিরাপত্তা আইনের বিতর্কিত
ধারা ও অপপ্রয়োগ প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, আগের সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টকে স্ক্র্যাপ
করা হয়েছে। এটি এত বেশি বিতর্কিত, একে আসলে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ব্যবহার করেছেন
ভিন্নমত দমন করার জন্য, মুখ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য, কিংবা দেশে ভয়ের পরিবেশ তৈরির জন্য,
কেউ যেন তার মতকে মুক্তভাবে প্রকাশ করতে না পারেন। তা পরিবর্তন করে এখন সাইবার সুরক্ষা
অধ্যাদেশ অনুমোদন করা হয়েছে।
প্রেস সচিব বলেন, ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪’ এর মূল বিষয় হলো আমরা সাইবার স্পেসকে
সবার জন্য নিরাপদ করতে চাই। সাইবার স্পেসে অনেক ধরনের অপরাধ হয়, অনেকে প্রতারিত হন।
মা-বোনেরা অনেক ধরনের বুলিংয়ের শিকার হন। শিশুদের অনেক ধরনের বুলিংয়ের শিকার হতে হয়।
সাইবার স্পেস নিরাপদ করা সরকারের দায়িত্ব।