• ঢাকা
  • শনিবার , ১৬ আগস্ট ২০২৫ , সকাল ০৭:০৭
ব্রেকিং নিউজ
হোম / সারাদেশ
রিপোর্টার : খুলনা ডেস্ক
আবারও আন্দোলনে কুয়েট শিক্ষার্থীরা, ক্লাসে ফিরছেন না শিক্ষকরা

আবারও আন্দোলনে কুয়েট শিক্ষার্থীরা, ক্লাসে ফিরছেন না শিক্ষকরা

প্রিন্ট ভিউ

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) চলমান অচলাবস্থা আরও দীর্ঘায়িত হচ্ছে। একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর দাবিতে শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বারান্দায় স্থাপিত সংগ্রামের মঞ্চে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। তাঁদের মূল দাবি দ্রুত একাডেমিক কার্যক্রম চালু করা, পুরোনো তদন্ত কমিটি বাতিল করে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন এবং পাঁচ দফা দাবির বাস্তবায়নের জন্য সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা।

একই সময়ে কুয়েটের শিক্ষকরা এখনও ক্লাসে ফেরেননি। শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নেবেন না। ফলে প্রশাসন এক ধরনের দ্বৈত চাপে পড়েছে। একদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, অন্যদিকে শিক্ষকদের অনড় অবস্থান—এই দুইয়ের মাঝে প্রায় তিন মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাজীবন কার্যত স্থবির।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের হামলায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হওয়ার পর থেকেই কুয়েট অচল হয়ে পড়ে। প্রথমে উপাচার্যের পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে কেবল উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন সীমিত করা হয়। শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাসুদকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরপরও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন পুরোপুরি থেমে যায়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৪ মে থেকে একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু শিক্ষকরা তাতে সাড়া না দেওয়ায় ক্লাস শুরু হয়নি। এরমধ্যে তদন্ত কমিটির সুপারিশে ৩৭ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হলেও পরবর্তী সিন্ডিকেট সভায় তা প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু ১৩ মে ওই শিক্ষার্থীদের আবারও কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হলে ক্যাম্পাসে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করে এবং পুরোনো তদন্ত কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানান।

এদিকে শিক্ষক সমিতি ৫ মে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে সাত কার্যদিবসের আল্টিমেটাম দিয়েছিল। আজ বৃহস্পতিবার সেই সময়সীমা শেষ হয়েছে। শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সাহিদুল ইসলাম জানান, তাঁরা উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন এবং প্রশাসনের ইতিবাচক মনোভাব পেয়েছেন। রোববার শিক্ষক সমিতির সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পরবর্তী করণীয় জানানো হবে।

প্রতিনিয়ত জটিলতা বাড়ায় কুয়েট প্রশাসন গভীর সংকটে রয়েছে। শিক্ষকদের ক্লাসে ফেরাতে হলে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, অথচ এমন পদক্ষেপ নিলেই নতুন করে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে দীর্ঘ তিন মাসেও কুয়েটের স্বাভাবিক একাডেমিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি।

সারাদেশ

আরও পড়ুন