ঢাকার উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রবেশে কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কর্তৃপক্ষ। বুধবার সকাল থেকে সাংবাদিক ও অভিভাবকদের ক্যাম্পাসে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে। শুধুমাত্র শিক্ষক ও কর্মচারীদের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ক্যাম্পাসের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে এবং ফটকের ভেতর ও বাইরে মোতায়েন রয়েছে নিরাপত্তাকর্মী ও পুলিশ সদস্য।
সরেজমিনে দেখা গেছে, স্কুলের বাইরের রাস্তায় অবস্থান করছেন অভিভাবক ও সংবাদকর্মীরা। কেউই ভেতরে প্রবেশ করতে পারছেন না। নিরাপত্তাকর্মীরা জানায়, স্কুল কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আশপাশের এলাকাতেও উৎসুক জনতা ভিড় করেছেন, তবে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী তার ছেলেকে নিয়ে এসেছেন অভিভাবক আমির হোসেন। তিনি জানান, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় তার ছেলে শারীরিকভাবে অক্ষত থাকলেও ভেতরের পরিবেশ দেখতে এসেছেন। কিন্তু তাকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, ঘটনার সময় আমি ঢাকার বাইরে ছিলাম, ফিরেই স্কুলে ছুটে এসেছি।
প্রসঙ্গত, গত ২১ জুলাই দুপুরে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়। আইএসপিআর-এর তথ্যমতে, এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩১ জন নিহত এবং ১৬৫ জন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার পর থেকেই গোটা এলাকাজুড়ে চরম উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
স্কুল কর্তৃপক্ষের এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে অভিভাবক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। সবাই ঘটনার বাস্তব পরিস্থিতি জানার জন্য ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে চাইলেও তাদের সেই সুযোগ মিলছে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ঘটনার সত্যতা ও বিস্তারিত তথ্য জানতে চাওয়ার পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে।
এই পরিস্থিতিতে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতার দাবি তুলেছেন অভিভাবকরা, যাতে তারা সন্তানের নিরাপত্তা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেন এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে করণীয় সম্পর্কে জানাতে পারেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।