টাকা পেলে সব পারেন আনোয়ার কাদির মিন্টু। আবার সব কিছুর জন্য টাকা নিয়েও নয়ছয় করার মাস্টারও তিনি। এভাবেই তিনি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে উঠেছেন অল্প সময়ে। ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের সনদ লেখক আনোয়ার কাদির মিন্টুকে নিয়ে এমন বুলি এখন লোকমূখে ঘুরে চলেছে। শিক্ষাবোর্ডের ওপেন সিক্রেট তিনি। জনাব মিন্টু এভাবে কি পরিমাণ কামিয়েছেন সেটা ভালো করে ডলা মারলে বেরুবে বলে মনে করছেন সেখানের লোকজন। আর এজন্যে প্রয়োজন দুদকে তদন্ত এবং আইন শৃংখলা বাহিনীর প্রয়োজনীয় রিমান্ড।
সাধারণ ভুক্তভোগী কেউ কেউ মিন্টুর ফাঁদে পড়ে অনেক সময় সর্বসান্তও হয়েছে। চাকরি দেওয়ার নামে তিনি টাকা নিয়ে দিনের পর দিন ঘুরিয়েছেন। এধরনের প্রতারণায় শেষমেষ শিক্ষা বোর্ডে তার বিরুদ্ধে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করতে হয়েছে ভুক্তভোগীকে। একটি সূত্র থেকে জানাগেছে, রকম ফেরে সার্টিফিকেট জালিয়তি, একজনের সার্টিফিকেট অন্যজনের নামে দেওয়া, নকল সার্টিফিকেট, সরকারি চাকরি দেওয়া, পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেওয়া, বিশেষ তদবির সহ কোন কাজের পারদর্শীতার নকশা নেই তার আমলনামা জুড়ে ? এজন্য একটি শ্রেণীর কাছে তার রয়েছে বিশেষ কদর।
বিষয়টি দুদকের সংশ্লিষ্ঠ বিভাগর সূত্রে জানাগেছে, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। জানাগেছে, আমলনামায় নকশা আকার জন্য মিন্টুর রয়েছে বিশ্বস্ত মধ্যস্ততাকারী শ্রেণী। অন্যদিকে লিয়াজো করা, ভয়দেখানো আর জুৎসই ফন্দিফিকিরের জন্যও রয়েছে তার নির্ভযোগ্য লোক। এ বিষয়ে মতামত নিতে আনোয়ার কাদির মিন্টুর অফিসে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি এবং একাধিকবার তার দুটি মোবাইল ফোন নম্বরে কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।