অলওয়েজ ড্যাম কেয়ার সাবেক তারাকান্দা উপজিলার পিআইও।সম্প্রতি তিনি কালিয়াকৈর উপজিলা পিআইও হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। তার বিষয়ে বিস্তর অভিযোগের পরও তার বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় মিডিয়ায় তার খুঁিটর জোর, খোঁজ এবং তাকে নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কথা উঠেছে -পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের দোয়া লেগেছিলো জাকারিয়া আলমের গায়ে। প্রতিমন্ত্রীর দোয়া কবুল হয়েছিলো বলে হাতে আলাদিনের চেরাগ পেয়েছিলেন তিনি। এছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালকের মন্ত্রের ফজিলত থাকায় সরকারের এই মহান ব্যাক্তি জাকারিয়া আলম নির্ভয়ে চলতে পারছেন, নিশ্চিন্তে ঘুমান আর বিশেষ টার্গেট নিয়ে পরিকল্পনা করছেন নতুন টাকার গাছ লাগানো, ফল ভাগাভাগির। সাথে আছে তার মত আরো অনেকের কৃতকর্মের সমন্বয় করে দেওয়ার মেওয়া, দোওয়ার বরকত। যে কারণে তিনি মাত্র আট বছরের মাথায় বিশাল অর্থের অট্টালিকাসহ নামে বেনামে সম্পদের ছোঁয়া পেয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, নানান প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে অদৃশ্য ইশারা আর নয়-ছয়ের ধোয়া তুলে এধরনের টাকা বানানোর মেশিন পেয়েছেন তিনি।
তার এই টাকা বানানোর মেশিনের কারণে সাধারণ জনসাধারণের কাজের হেরফের আর সরকারের কতশত কোটি টাকা গচ্ছা গেছে তা পর্যবেক্ষণের বেরিয়ে আসবে।
অন্য একটি সূত্র থেকে জানাগেছে, সংশ্লিষ্ট এলাকায় চেয়ারম্যানদের সাথে তার ছিলো মধুর লিয়াজো। আবার পিআইয়োদের সর্দার ছিলেন বলেও জানাগেছে। নির্ভুল হাতের ছোয়ায় ভূয়া মাষ্টার রোল তৈরি আর তা জমা দিয়ে কাড়ি কাড়ি টাকা বানানোর হয়তো গায়েবী মন্ত্র জানতেন তিনি। আর চার দিক ম্যানেজ করা তার জন্য কোনো বিষয়ই ছিলো না। যা হয়তোবা আলাদিনের চেরাগের সন্ধান দিয়েছে।
সুত্রে জানাগেছে, তারাকান্দা এলাকায় সেসময়ের প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মাণে ক্ষেত্রে নয়ছয় কর্মকান্ডের জন্য সেসব ঘর কিধরনের ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে রয়েছে সেটি তদন্ত করলেই বের হবে। এছাড়া ইউপি ভবন নির্মাণ, মুক্তিযোদ্ধাদের ঘর নির্মাণ সহ অন্যান্য প্রকল্পে তার দায়িত্বের অবস্থান কি সেটা হয়তো কিছুদিনের মধ্যেই জানার সুযোগ হতে পারে সবার জন্য। একটি সূত্র বলেছে, তার বিষয়ে নতুন করে দুদকে অভিযোগের প্রস্তুতি চলমান রয়েছে। এছাড়া তিনি কার কার সাথে ভাগাভাগি করেন এবং করেছেন সেটিও প্রকাশ করার প্রস্তুতি চলমান রয়েছে বলে সুত্র মারফত জানা গেছে।
তারাকান্দার সাবেক উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জাকারিয়া আলম নিজেকে ধোয়া তুলসি পাতার মর্জাদায় রাখতে এবং তার কিছু যেনো প্রকাশ না হয় এজন্য কৌশলী অবস্থান গ্রহণ এবং রহস্যজনক আচারণে যুক্ত রয়েছেন। তার বিস্তারিত প্রকাশ করতে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। এছাড়া একটি সুত্র বলেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালকের সাথে তার ভরসা করার মত সখ্যতা থাকার জন্যই ড্যাম কেয়ারে থাকেন সব সময়। বিষয়টি জানতে উক্ত দফতরের মহাপরিচালকের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও মতামত নেওয়া সম্ভব হয়নি। কিন্তু সংবাদ প্রকাশের পর উক্ত প্রতিনিধির বাসা থেকে ডেকে নিয়ে তাকে ভয়-ভীতি, হুমকি দিয়েছেন জাকারিয়া আলম। তবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের যুগ্ম সচিব মো: আব্দুল্লাহ আল মামুনের কাছে জানতে এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জাকারিয়া আলমের বিষয় আমার কিছু জানা নেই। এ বিষয়ে মহা পরিচালক মহোদয় যে কোনো কিছু জানা, বলা বা সিদ্ধান্ত নেবার যথাযথ কর্তৃপক্ষ ব্যাক্তি বলে আমি মনে করি।